আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 2
৩. পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তিত না হলে কী ঘটনা ঘটবে ?
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথাও খুব বেশি অথবা খুব কম হয় না।
পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতাে তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চির রাত্রি বিরাজ করে। ফলে সূর্যের সামনের অংশে প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচন্ড শীতলতা বিরাজ করতাে। এই রূপ পরিবেশে কোন জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতাে না।
৪. বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?
উত্তর :- বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভের কারণ -
• পূর্ণভব সম্পদ :- অচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না ।
• পরিবেশ দূষণ কম :- অচিরাচবিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না।
• স্বল্প উৎপাদন ব্যয় :- অচিরাচরিত শক্তির উৎস গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত কম।
• স্বল্প বাজারদর :- অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজার দর অনেক কম।
• নিরাপদ ব্যবহার :- অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ।
• সল্প মূলধন :- অচিরাচরিত শক্তি স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদনে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।
নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 2

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত কে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :-
• পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ু প্রবাহ সমুদ্রস্রোত প্রভৃতির গতি বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। 1835 সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করেন। তার নাম অনুসারে এই বলকে কোরিওলিস বল বলে।
বায়ু প্রবাহ এবং সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব আলোচনা করা হলো ।
বায়ু প্রবাহের উপর প্রভাব :- পৃথিবীর উপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু এবং মেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে সারা বছর নবী সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধের ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।
সুমদ্র স্রোতের উপর প্রভাব :- প্রশান্ত মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। যেমন- আটলান্টিক মহাসাগর উপসাগরীয় স্রোত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
২. কী কী কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর :- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(Global Positioning System) বা সংক্ষেপে GPS বলে।
(i) এব ব্যবহার গুলি নিম্নে আলােচিত হলাে :
(ii) কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
(iii) ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
(iv) সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(v) সমুদ্রে মাছের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে সমুদ্রে জেলেরা সঠিক স্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রচুর মাছ সংগ্রহ করতে পারে
(vi) পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Vii) নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Viii) কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য GPS এর সাহায্যে কৃষক দের সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হয়
(ix) বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়।
১. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত কে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর :-
• পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ু প্রবাহ সমুদ্রস্রোত প্রভৃতির গতি বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। 1835 সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘটনা প্রথম লক্ষ্য করেন। তার নাম অনুসারে এই বলকে কোরিওলিস বল বলে।
বায়ু প্রবাহ এবং সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব আলোচনা করা হলো ।
বায়ু প্রবাহের উপর প্রভাব :- পৃথিবীর উপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু এবং মেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে সারা বছর নবী সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধের ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় ।
সুমদ্র স্রোতের উপর প্রভাব :- প্রশান্ত মহাসাগর আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। যেমন- আটলান্টিক মহাসাগর উপসাগরীয় স্রোত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।
২. কী কী কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর :- কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(Global Positioning System) বা সংক্ষেপে GPS বলে।
(i) এব ব্যবহার গুলি নিম্নে আলােচিত হলাে :
(ii) কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
(iii) ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়।
(iv) সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(v) সমুদ্রে মাছের সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে সমুদ্রে জেলেরা সঠিক স্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে প্রচুর মাছ সংগ্রহ করতে পারে
(vi) পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Vii) নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহার করা হয় ।
(Viii) কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য GPS এর সাহায্যে কৃষক দের সঠিক তথ্য সরবরাহ করা হয়
(ix) বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়।
৩. পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তিত না হলে কী ঘটনা ঘটবে ?
উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার। পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথাও খুব বেশি অথবা খুব কম হয় না।
পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতাে তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চির রাত্রি বিরাজ করে। ফলে সূর্যের সামনের অংশে প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচন্ড শীতলতা বিরাজ করতাে। এই রূপ পরিবেশে কোন জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতাে না।
৪. বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?
উত্তর :- বর্তমানে চিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভের কারণ -
• পূর্ণভব সম্পদ :- অচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না ।
• পরিবেশ দূষণ কম :- অচিরাচবিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না।
• স্বল্প উৎপাদন ব্যয় :- অচিরাচরিত শক্তির উৎস গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত কম।
• স্বল্প বাজারদর :- অচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজার দর অনেক কম।
• নিরাপদ ব্যবহার :- অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ।
• সল্প মূলধন :- অচিরাচরিত শক্তি স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদনে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।