আজকে আমার দশম শ্রেণির ইতিহাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
(ক)
(1) স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে উদাহরণসহ লেখ
উত্তর:
স্মৃতিকথা কিংবা আত্মজীবনী একজন মানুষ তার সময়ের কথা উপস্থাপন করেছেন এখানে । এই থেকে নানান তথ্য এবং ওই সময়কার বিভিন্ন ঘটনার হদিশ পাওয়া যায় । সেই জন্য স্মৃতিকথা কিংবা আত্মজীবনী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । উদাহরণ হল - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি, সরলা দেবী চৌধুরানীর জীবনের ঝরাপাতা, মনিকুন্তলা সেনের সেদিনের কথা, বিপিনচন্দ্র পালের সত্তর বছর , প্রভৃতি স্মৃতিকথা আধুনিক ইতিহাসের একটি মূল্যবান দলিল ।

(ক)
(1) স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে উদাহরণসহ লেখ
উত্তর:
স্মৃতিকথা কিংবা আত্মজীবনী একজন মানুষ তার সময়ের কথা উপস্থাপন করেছেন এখানে । এই থেকে নানান তথ্য এবং ওই সময়কার বিভিন্ন ঘটনার হদিশ পাওয়া যায় । সেই জন্য স্মৃতিকথা কিংবা আত্মজীবনী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । উদাহরণ হল - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি, সরলা দেবী চৌধুরানীর জীবনের ঝরাপাতা, মনিকুন্তলা সেনের সেদিনের কথা, বিপিনচন্দ্র পালের সত্তর বছর , প্রভৃতি স্মৃতিকথা আধুনিক ইতিহাসের একটি মূল্যবান দলিল ।

(2) বাংলা নবজাগরণ ছিল কলকাতা শহর কেন্দ্রিক - মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ।
উত্তর:
পাশ্চাত্য সভা ও সংস্কৃতি সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের বাঙালী সমাজে যে যুক্তিবাদি ও মানধতাবাদী আলোড়ন দেখা যায়, তাকে সাধারণ বঙ্গীয় নবজাগরণ। বলে আখ্যািয়ত হলেও এর ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত এবং একান্তাবেই কলকাতা শহর কেন্দ্রিক। ইতালীয় নবজাগরণ যে প্রবল গতিবেগ, উদ্যম ও বহুমুখী সৃজনশীলতা লক্ষ্য করা যায়, কলকাতা কেন্দ্রিক বঙ্গীয় নবজাগরণের তা অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। শহর কলকাতার কিছু মুষ্টিমেয় ইংরেজি শিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে এই নবজাগরণের সীমাবন্ধ ছিল । হিন্দু সমাজের বৃহত্তর নিমবন্ধনের মানুষ, কৃষক সমাজ বা মুসলিম সমাজের সঙ্গে নবজাগরণের কোনাে সম্পর্ক ছিল না। ডা: অনীল শীল তাই একে এলিটিস্ট মুভমেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন
(3) চুয়াড় বিদ্রোহ কে 'চুয়ার বিপ্লব' বললে কেনো ভুল বলা হবে ?
উত্তর:
পাশ্চাত্য সভা ও সংস্কৃতি সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের বাঙালী সমাজে যে যুক্তিবাদি ও মানধতাবাদী আলোড়ন দেখা যায়, তাকে সাধারণ বঙ্গীয় নবজাগরণ। বলে আখ্যািয়ত হলেও এর ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত এবং একান্তাবেই কলকাতা শহর কেন্দ্রিক। ইতালীয় নবজাগরণ যে প্রবল গতিবেগ, উদ্যম ও বহুমুখী সৃজনশীলতা লক্ষ্য করা যায়, কলকাতা কেন্দ্রিক বঙ্গীয় নবজাগরণের তা অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। শহর কলকাতার কিছু মুষ্টিমেয় ইংরেজি শিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে এই নবজাগরণের সীমাবন্ধ ছিল । হিন্দু সমাজের বৃহত্তর নিমবন্ধনের মানুষ, কৃষক সমাজ বা মুসলিম সমাজের সঙ্গে নবজাগরণের কোনাে সম্পর্ক ছিল না। ডা: অনীল শীল তাই একে এলিটিস্ট মুভমেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন
(3) চুয়াড় বিদ্রোহ কে 'চুয়ার বিপ্লব' বললে কেনো ভুল বলা হবে ?
উত্তর:
চুয়াড় বিদ্রোহ কে চুয়ার বিপ্লব বলা যাবেনা । কারণ চুয়াড় বিদ্রোহের সময় শুধুমাত্র নিপীড়িত, অত্যাচারিত, নিম্ন শ্রেণীর চুয়াড়াই এই আন্দোলনে যােগদান করেছিল। ইংরেজদের অত্যাচার ও নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু এই আন্দোলনে যারা একটু উচ্চ পর্যায়ের ছিল তাদের মধ্যে প্রসারিত হয়নি, সেই কারণে চুয়াড় বিদ্রোহকে চুয়াড় বিপ্লব বলা যাবেনা।
খ) ভারতের মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করাে ও নাম লেখা :
সাঁওতাল বিদ্রোহের এলাকা, ফরাজি আন্দোলনের কেন্দ্র, কোল বিদ্রোহের এলাকা, মুন্ডা বিদ্রোহের অঙ্গা, সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের এলাকা।
উত্তর ঃ-
গ) উপযুক্ত তথ্য সহযােগে নীচের ছকটি পূরণ করাে
চুয়াড় বিদ্রোহ কে চুয়ার বিপ্লব বলা যাবেনা । কারণ চুয়াড় বিদ্রোহের সময় শুধুমাত্র নিপীড়িত, অত্যাচারিত, নিম্ন শ্রেণীর চুয়াড়াই এই আন্দোলনে যােগদান করেছিল। ইংরেজদের অত্যাচার ও নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু এই আন্দোলনে যারা একটু উচ্চ পর্যায়ের ছিল তাদের মধ্যে প্রসারিত হয়নি, সেই কারণে চুয়াড় বিদ্রোহকে চুয়াড় বিপ্লব বলা যাবেনা।
খ) ভারতের মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করাে ও নাম লেখা :
সাঁওতাল বিদ্রোহের এলাকা, ফরাজি আন্দোলনের কেন্দ্র, কোল বিদ্রোহের এলাকা, মুন্ডা বিদ্রোহের অঙ্গা, সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের এলাকা।
উত্তর ঃ-
![]() |
এই ভাবে ম্যাপ পয়েন্টিং করতে হবে |
গ) উপযুক্ত তথ্য সহযােগে নীচের ছকটি পূরণ করাে
উত্তর ঃ-
সাময়িক পত্র / সংবাদ / সাহিত্য | সাম্পাদাক | সময়কাল | বিষয়বস্তু |
---|---|---|---|
বঙ্গদর্শন | বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | ১৮৭২ খ্রি: | পত্রিকায় প্রথম সংখ্যা থেকে ইতিহাস প্রত্নতত্ত্ব সঙ্গীত সাহিত্য সকলোচনাই বাঙালির শক্তি সাধনাই কৃষক সমস্যা হিন্দু মুসলিম সমস্যা প্রভূতি বিষয়ের উপর রচনা প্রকাশিত হতে থাকে । বঙ্গদর্শন প্রকাশিত বঙ্গমাতরম সংগীত পরবর্তীকালে বিপ্লবীদের অভিমন্ত্রে পরিণত হয় এই মধ্যে দিয়ে নেজ্জ্ব শিক্ষিত বাঙালি সমাজের সঙ্গে অপমার বাঙালি সমাজের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনে গরিউঠেছে। |
সোমপ্রকাশ | দ্বারকানাথ বিদ্ধাভুবন | ১৮৫৮ খ্রি: | উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সম প্রকাশ শিক্ষিত উদারপন্থী বাঙালির মধ্যবিত্তের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র । পত্রিকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল এর মার্জিত রুচি পাজ্বল ভাষা , ও নির্ভীক সমালোচনা , দিনের পর দিন এই পত্রিকাই প্রকাশিত বিজ্ঞান চর্চায় কৃষকদের দুরবস্থা প্রভৃতি নানাবিধ প্রতিবেদন এতে নিয়মিত প্রকাশিত হয় । অত্যাচারিত নীলকর ও দমন-পীড়ন মোলোক নীল চষের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অবতীর্ণ হয়েছিল সোমপ্রকাশ |
বামাবোধিনী | উমেশচন্দ্র দত্ত | ১৮৬৩ খ্রি: | বামাবোধিনী মূল উদ্দেশ্য হলো বামাবধনি সমাজের নারী শক্তি জাগরণের । নারীর প্রতি ব্যঞ্জনা অপরাধ ও শোষণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিল বামাবধনী । এই পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে নারী জাতি চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে । নারীর জনমত গঠনের ব্যবস্থা করে দেয়। সেই সঙ্গে মেয়েদের লেখা গল্প কবিতা তাদের কর্তৃত্ব সাফল্য এমনকি রাজনৈতিক আন্দোলন তাদের অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়মিত প্রকাশ করে নারী সমাজের মুখপত্রের পরিণত হয় বামাবধনি । |
গ্রামবার্তা প্রকাশিকা | হরিনাথ মজুমদার | ১৮৬৩ খ্রি: | গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা যথায সমকালীন বাংলার গ্রাম সমাজের দর্পণ । পত্রিকায় প্রায় প্রতিটা সংখ্যা জুড়ে জমি,জমিদার,কৃষক, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা থাকতো । জমিদার নিপীড়ন পুলিশের অসাধুতা বিচারের নামে অবিচার সাধারণ মানুষের অসহায়তার খবর দিনের পর দিন অসীম সাহসী চেপেছে গ্রাম বার্তাই। |
হুতুম প্যাঁচার নকশা | কালীপ্রসন্ন সিংহ | ১৮৬১খ্রি: | হুতোম প্যাঁচার নকশা উনিশ শতকের প্রথমদিকে কলকাতা বাবু কালচার এবং বাংলার অবগাহিত সমাজ জীবনে এক অসাধারণ ও জীবন্ত দলিল । দূর্গ পূজো বারোয়ারী পূজা , চড়ক রথ স্নানযাত্রার প্রভিদের নামে হিন্দু সমাজের ভন্ডামি ভারামের সমালোচনা করা হয়েছে সমাজ চেতনা বঙ্গ বিদ্রুপের কষাঘাত হাস্যরস সব মিলিয়ে এটি একটি বাংলা অসামান্য গ্রন্থ। |
ঘ) নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করাে।
উত্তরঃ-
বিদ্রোহ আন্দোলন | সময়কাল | অঞ্চল | নেতৃত্ব | কারণ | প্রভাব |
---|---|---|---|---|---|
সাঁওতাল | ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে | ছোটনাগপুর পলাশী মানভুস বাঁকুড়া মেদিনীপুর বীরভূম প্রভূতি অঞ্চলে | সিধু , কানু | মহাজন ও ব্যবসায়ীদের কারচুপি ইংরেজদের অত্যাচার | সাঁওতাল পরগনা গডন ও মহাজনদের শোষণ হ্রাস |
মুন্ডা | ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ | রাচি | বিরসা মুন্ডা | খুৎকাটি প্রথা এবং ধর্মানতরিকর | খুৎকাঠি প্রথা পরিবর্তন ও ছোটনাগপুর অঞ্চলে প্রজাস্বত্ব আইন পাশ করে । |
নীল | ১৮৫৯ | বাংলা | দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরন বিশ্বাস | নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও পক্ষপাত দুষ্ট বিচার ব্যবস্থা | নীল কমিশন গঠন ও কৃষক ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ঐক্য |
ওয়াহাবি | ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দ | নারকেলবেরিয়া | তিতুমীর | ইসলামের শুদ্ধিকরণ ও ইসলাম ধর্মের কুসংস্কার দূর করা । | মুসলিম সমাজ সংস্কার শুরু হয়। |
ফরাজী | ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দ | পূর্ববঙ্গ | দুধু মিয়া | ভারতবর্ষকে ইংরেজদের হাত থেকে উদ্ধার করা এবং বাংলাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করা । | শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ বিরোধী কৃষক আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল । |