আজকে আমরা আলোচনা করব নবম শ্রেণির ইতিহাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত উত্তর এবং প্রশ্ন নিয়ে পার্ট 3
(১)
উত্তর
শিল্প বিপ্লবের আগে শ্রমিকরা নিজ গৃহে বসে ছােটোখাট যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য উৎপাদন করত। এই শিল্পকে বলা হত কুটির শিল্প। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন কলকারখানা অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক পণ্য উৎপাদন হতে শুরু করে এই ব্যবস্থাকেই বলা হয় ফ্যাক্টরি প্রথা।
২) ক' স্তম্ভের সাথে খ' স্তম্ভ মেলাও।
৩) ৭- ৮ টি বাক্যে উত্তর দাও।
ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল শিল্প প্রযুক্তির বিপ্লব এবং তার সার্থক ব্যবহার । ১. দ্রুতগতিতে লােহা গলাবার জন্য এক বিশেষ ধরনের চুল্লি ব্লাস্ট ফার্নেস আবিষ্কৃত হয় এবং এর ফলে 1770 সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের লৌহ যুগের সূচনা হয়। ২. 1733 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে সুতে কাটা এবং কাপড় বােনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে । ৩. বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য কয়লার উৎপাদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিলে খনির মধ্যে ও বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতির প্রবর্তন শুরু হয়। 1815 খ্রিস্টাব্দেহামফ্রি ডেভির আবিষ্কৃত নিরাপত্তা বাতি ব্যবহারের ফলে খনিতে কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম বিপজ্জনক হয়। এর ফলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ৪. এই সময় পাথরকুচি ও পিচের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে উন্নত ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। এভাবে দেখা যায় যে, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে শিল্প প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল ?
উত্তর :- শিল্প বিপ্লবের পরে কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজার দখল, সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রভৃতি কারণে ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে তুমুল ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেসব এলাকায় এই প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম এলাকা হলাে চীন ও আফ্রিকা। 1870 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলাের কাছে অজানা ছিল। তাই আফ্রিকা পরিচিত ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে। 1870 এর আগে আফ্রিকায় যে সকল স্থানে বিদেশি উপনিবেশ ছিল সেই সকল স্থান গুলি হল--উত্তমাশা অন্তরীপ, কেপ কলােনি, নাটাল, গিনি ইত্যাদি স্থান। বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড আফ্রিকা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক আফ্রিকা সভা গঠন করেন। তিনি কঙ্গো অববাহিকা উপনিবেশ স্থাপন, করলে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিরােধ শুরু হয়। একইভাবে চীনের উপরে দখল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি ফ্রান্স ইতালি পর্তুগাল প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয় ।
(১)
(ক) ইয়ং ইতালি দলের লক্ষ্য কী ছিল ?
উত্তর
ইয়ং ইটালি দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। এই দলের লক্ষ্য ছিল এমন একদল যুবকের সৃষ্টি করা যারা দেশের জন্য সবসময় সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রচার, আত্মত্যাগ ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ইটালিতে জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটবে।

(খ) জোলভারেইন কি ?
উত্তর
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া বাদে জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শুল্ক সংস্থা গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় জোলভেরাইন। এর রূপকার ছিলেন জার্মানির অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন।
(গ) রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বােঝাে?
উত্তর
কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
(ঘ) ঘেটো কি ?
উত্তর
ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
(ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?
উত্তর
ইয়ং ইটালি দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। এই দলের লক্ষ্য ছিল এমন একদল যুবকের সৃষ্টি করা যারা দেশের জন্য সবসময় সর্বস্ব ত্যাগ করতে তৈরি থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষা, প্রচার, আত্মত্যাগ ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে ইটালিতে জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটবে।

(খ) জোলভারেইন কি ?
উত্তর
১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া বাদে জার্মানির বেশিরভাগ রাজ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় শুল্ক সংস্থা গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় জোলভেরাইন। এর রূপকার ছিলেন জার্মানির অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন।
(গ) রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বােঝাে?
উত্তর
কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
(ঘ) ঘেটো কি ?
উত্তর
ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
(ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?
উত্তর
শিল্প বিপ্লবের আগে শ্রমিকরা নিজ গৃহে বসে ছােটোখাট যন্ত্রপাতি দিয়ে পণ্য উৎপাদন করত। এই শিল্পকে বলা হত কুটির শিল্প। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর বৃহদায়তন কলকারখানা অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেক পণ্য উৎপাদন হতে শুরু করে এই ব্যবস্থাকেই বলা হয় ফ্যাক্টরি প্রথা।
২) ক' স্তম্ভের সাথে খ' স্তম্ভ মেলাও।
ক - স্তম্ভ | খ - স্তম্ভ |
---|---|
(i) মেটারনিক ব্যবস্থা | (d) ইউরোপের পুরাতন তন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা |
(ii) বিসমার্ক | (c) রক্ত ও লৌহ নীতি |
(iii) জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার | (a) ভূমিদাসদের মুক্তি দান |
(iv) মার্কস ও এঙ্গেলস | (e) কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো |
(v) প্রুডো | (b) নৈরাজ্যবাদী |
৩) ৭- ৮ টি বাক্যে উত্তর দাও।
ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল শিল্প প্রযুক্তির বিপ্লব এবং তার সার্থক ব্যবহার । ১. দ্রুতগতিতে লােহা গলাবার জন্য এক বিশেষ ধরনের চুল্লি ব্লাস্ট ফার্নেস আবিষ্কৃত হয় এবং এর ফলে 1770 সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের লৌহ যুগের সূচনা হয়। ২. 1733 খ্রিস্টাব্দে থেকে 1785 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে সুতে কাটা এবং কাপড় বােনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে । ৩. বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য কয়লার উৎপাদ বৃদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিলে খনির মধ্যে ও বাষ্প চালিত যন্ত্রপাতির প্রবর্তন শুরু হয়। 1815 খ্রিস্টাব্দেহামফ্রি ডেভির আবিষ্কৃত নিরাপত্তা বাতি ব্যবহারের ফলে খনিতে কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও কম বিপজ্জনক হয়। এর ফলে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । ৪. এই সময় পাথরকুচি ও পিচের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে উন্নত ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। এভাবে দেখা যায় যে, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ও পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে শিল্প প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কেন চীন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল ?
উত্তর :- শিল্প বিপ্লবের পরে কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজার দখল, সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রভৃতি কারণে ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে তুমুল ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেসব এলাকায় এই প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয় তার মধ্যে অন্যতম এলাকা হলাে চীন ও আফ্রিকা। 1870 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলাের কাছে অজানা ছিল। তাই আফ্রিকা পরিচিত ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হিসেবে। 1870 এর আগে আফ্রিকায় যে সকল স্থানে বিদেশি উপনিবেশ ছিল সেই সকল স্থান গুলি হল--উত্তমাশা অন্তরীপ, কেপ কলােনি, নাটাল, গিনি ইত্যাদি স্থান। বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড আফ্রিকা সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক আফ্রিকা সভা গঠন করেন। তিনি কঙ্গো অববাহিকা উপনিবেশ স্থাপন, করলে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মধ্যে বিরােধ শুরু হয়। একইভাবে চীনের উপরে দখল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি ফ্রান্স ইতালি পর্তুগাল প্রভৃতি দেশগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয় ।