আজকে আমরা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল সম্বন্ধ পদ ও কারকের মধ্যে সম্পর্ক কি এবং সম্বন্ধ পদ কে কি কারক বলা যাবে? তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের পর্বঃ

বাক্যের পদগুলোর সাধারণত হয় দুই রকমের কারক ও অকারক পদ।বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক তাকেই কারক বলে। কিন্তু বাক্যে অনেক সময় ক্রিয়াপদের সাথে সম্পর্ক না রেখেই , নামপদের সাথে বাক্যের অন্যদের সাথে সম্পর্ক থাকে। সে ক্ষেত্রে সেই পদটিকে কারক না বলে অকারক পদ বলা হবে।ক্রিয়াপদের সাথে সম্পর্ক না রেখে যে নামপদ বাক্যের অন্য পদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাকে সম্বন্ধ পদ বলে।
যেমন:
রামের গাছে ভূত বাস করে।এখানে 'রামের' সঙ্গে 'গাছ'-এর সম্পর্ক আছে; কিন্তু 'বাস করে' ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধ নেই। ক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধ পদের সম্পর্ক নেই বলে, সম্বন্ধ পদকে কারক বলা হয় না।
কারক চেনার সহজ উপায় :
১। কে? / কীসে + ক্রিয়া = কর্তৃকারকএই কারক বলতে বাক্যের প্রধান কর্তা
যেমন :
ঘোড়ায় ( কে?) গাড়ি টানে।
পাখি (কীসে?) সব, করে রব।
২। কী ? / কাকে? + ক্রিয়া = কর্মকারক।
কর্তার কাজ বোঝাবে।
যেমন :
অর্থ অনর্থ (কী?) ঘটায়?
ডাক্তারকে ( কাকে?) ডাক।
৩। (কী / কীসের ) দ্বারা? + ক্রিয়া = করণ কারক।
মাধ্যম বোঝাবে।
যেমন :
ছেলেরা ফুটবল ( কী দ্বারা?) খেলছে।
টাকায় ( কীসের দ্বারা?) বাঘেরদুধ
মেলে।
৪। কাকে দান করা হল? = সম্প্রদান কারক।
স্বত্ব ত্যাগ বোঝাবে।
যেমন :
শীতার্তকে ( কাকে দান করা হল?) বস্ত্র দাও।
সৎপাত্রে ( কীসে দান?) কন্যা দান করিও।
৫। ( কী/কীসের /কোথা) থেকে? +ক্রিয়া = অপদান কারক।
গৃহীত, উৎপন্ন, চলিত, পতিত ইত্যাদি
বোঝাবে।
যেমন :
স্কুল ( কীসের থেকে?) পালিয়ে
পণ্ডিত হওয়া যায়না।
সরিষা থেকে ( কী থেকে?) তেল হয়।
৬। কখন? /কোথায়? / কীভাবে?/ বিষয়ে?
+ ক্রিয়া = অধিকরণ কারক।
স্থান, কাল,বিষয়, ভাব বোঝাবে।
+ ক্রিয়া = অধিকরণ কারক।
স্থান, কাল,বিষয়, ভাব বোঝাবে।
যেমন :
ভোরবেলা ( কখন? ) সূর্য উঠে।
সে বাড়ী ( কোথায়? ) নাই?