পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা নতুন 2021 এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১. ‘আয়রে ছুটে ছোট্টরা”― ছোটোদের কেন ছুটে আসতে হবে?
উত্তর - ছোটোদের ছুটে আসতে হবে কারন গল্পবুড়ো তাঁর ঝুলিতে করে অনেক রকম মন ভরানো রূপকথার গল্প নিয়ে এসেছে।
১.২. ... আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।'—জোয়ানদের ঘাঁটিটি কোথায় ছিল?
উত্তর - জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাকের একটি বরফের ঢাকা নির্জন জায়গাতে।
১.৩. ‘দারোগাবাবু এবং হাবু’ কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা?
উত্তর - 'দারোগাবাবু ও হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য হল আটটা কুকুর।
১.৪. 'উলগুলান’ কাদের লড়াই?
উত্তর - ইংরেজদের সাথে মুন্ডাদের লড়াই।
১.৫. 'কেউ করে না মানা।" - কার কোন কাজে কেউ নিষেধ করে না?
উত্তর - উদ্ধৃতাংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর' কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে মেঘেদের আকাশজুড়ে খেলে বেড়ানোর কাজকে কেউ নিষেধ করে না।
১.৬. ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।' — কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল?
উত্তর - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা বোকা কুমিরের কথা' গল্পের কুমির ধান চাষের সময় একথা বলেছিল। কারন সে ভেবেছিল আলুর মতো ধান ও বুঝি মাটির নীচেই ফলে।
১.৭. মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি !’ – ‘অথই’ এবং ‘অগাধ’ শব্দ দুটির অর্থ লেখো।
উত্তর - অথই শব্দের অর্থ হল যার তল নেই এমন ও অগাধ শব্দের অর্থ হল অফুরন্ত বা সীমাহীন
১.৮. ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখো।
উত্তর - গাছের 'ঝড়' কবিতায় উল্লেখিত দুটি গাছের নাম চাঁপাগাছ ও বকুলগাছ।
১.৯. ‘ট্যাক্' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর - দুটি ছোটো নদী মিশবার ফলে যে ত্রিভুজাকার জমির খন্ড তৈরী হয় তার মাথাকে বলা হয় ট্যাক ।
১.১০. 'করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে?
উত্তর - ফণীমনসা তিনবার বনের পরীর কাছে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছে। প্রথমবার ডাকতেরা তার সোনার পাতা নিয়ে যায়, দ্বিতীয়বার ঝড়ে তার কাঁচের পাতা ভেঙ্গে যায়, তৃতীয়বার ছাগলে এসে তার নরম কচি পালং শাকের মতো সবুজ পাতা খেয়ে ফেলে, তখন বনের পরীকে ফনীমনসা একথা বলেছে।
২. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
২.১. ‘গল্পবুড়ো’ কবিতায় রূপকথার কোন কোন প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে।
উত্তর - সুনির্মল বসুর লেখা 'গল্পবুড়ো' কবিতায় কবি রূপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সেগুলি হলো - দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও কড়ির পাহাড়, সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
২.২. এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।'—জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে 'বুনোহাঁস' গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তর - লীলা মজুমদারের লেখা 'বুনোহাঁস' গদ্যাংশে, শীতের শুরুতে একঝাঁক বুনোহাঁসকে উত্তর থেকে দক্ষিণের গরমের দেশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায় । তাদের মধ্যে একটি হাঁসের ডানা জখম হওয়ায় সেটি লাডাকে জওয়ানদের ঘাঁটির কাছে নেমে আসে। তাকে দেখে আর একটা হাঁসও নীচে নেমে আসে| জখম হাঁসটিকে জওয়ানরা তুলে এনে তাদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রাখে। সারা শীতকাল হাস দুটি জওয়ানদের সাথে কাটাল এবং টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি জোয়ানরা খেতে দিত। ধীরে ধীরে জখম হাঁসটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং উড়তে পারে। এইভাবে হাঁসদুটোকে দেখতে দেখতে জোয়ানদের শীত কালটি কেটে যায়।
২.৩. ‘নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/ শুনুন বড়োবাবু।'—থানায় বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তর - হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুকে বলেছিল তারা চার ভাই একসঙ্গে একটি ঘরের মধ্যে বাস করে । কিন্তু সেই ঘরের মধ্যেই বড়দা সাতটা বিড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল পোষে। সেসবের গন্ধে তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা । দাদাদের এই এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল
২.৪. এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।'— উদ্ধৃতিটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তর - এতোয়া দশ বছরের একটি ছোট্ট দুরন্ত আদিবাসী ছেলে। সে গরু, মোষ চরায়। বাবুদের গরু, মোষ চরাতে চরাতে সে টোকো আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু, পুকুরের পাড় থেকে শাক প্রভৃতি সংগ্রহ করে। আবার কখনো সুবর্ণরেখার সরু চরে বাঁশে বোনা জাল পেতে মাছ ধরে। এই হল এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয়।
২.৫. 'বিমলার অভিমান' কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর - নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা 'বিমলার অভিমান' কবিতাটিতে বিমলার অভিমানের কারণ হল সারা দিন বাড়ির নানা কাজ, নানা প্রয়োজনে বিমলার ডাক পড়লেও খাওয়ার সময় তাকে কেউ ডাকে না, যেন সবাই তার কথা ভুলে যায়! এমনকি খাবারও দাদা ও ভাইয়ের থেকে তাকে অল্প দেওয়া হয় । তাই বিমলার অভিমান হয়েছে।
২.৬. 'ছাদটা ছিল আমার কোতাবে পড়া মরুভূমি...'- 'ছেলেবেলা' রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ' ছেলেবেলা' রচনাংশে আমরা দেখতে পাই ছোট্ট রবি ঠাকুরের জীবনে তাদের বাড়ির ছাদটি ছিল এক বিশেষ আনন্দের জায়গা। লেখক ছাদ থেকে নিচের প্রকৃতি, মানুষদের কাজকর্ম লক্ষ্য করতেন। এসব এবং ছাদের চারিদিকের ধূ-ধূ শূন্যতা, হু – হু গরম - বাতাসের ধুলো উড়ানো- এসব স্মরনের কারণেই রচনা অংশটি তে ছাদের প্রসঙ্গে এসেছে ।
২.৭. তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান'— কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন গানটি মনে পড়ে?
উত্তর -মেঘলা বৃষ্টির দিনে কথক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
“বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদে এল বান!
এই ছেলেবেলার গানটি মনে পড়ে ।
২.৮. 'ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো"। বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল?
উত্তর -ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ভগবানের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি জানিয়ে সমাধান পাওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য। যাত্রাপথে তার সঙ্গে মিলিত হয়েছিল মৌমাছি, মোরগ ও একটি বাঘ । নানা ঘটনাক্রম ও লড়াইয়ের অবশেষে ভগবানের সহায়তায় তারা খরা ও অনাবৃষ্টির হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল ।
২.৯. ভেবে পাই নে নিজে – কবি কী ভেবে পান না? -
উত্তর -কবি অশোকবিজয় রাহা ‘মায়াতরু’ কবিতায় এক মায়াবী গাছের কথা বলেছেন।সন্ধ্যের অন্ধকারে গাছটি ডালপালা নাড়িয়ে ভুতের মত নাচ করত। আবার যখন চাঁদ উঠত তখন চাঁদের আলোয় ঝাকড়া গাছটিকে দেখে মনে হত ভাল্লুক। বৃষ্টিতে ভেজার পর গাছের পাতায় জমে থাকা জলের উপর আলো পড়লে মনে হত সে বুঝি লক্ষ হীরের মাছের মুকুট পড়েছে। ভোরবেলার আবছায়াতে সেই গাছটিতে নানা আজব কাণ্ড ঘটত। এইসব অদ্ভুত কান্ডের রহস্যের কথাই কবি ভেবে উঠতে পারেন না।
২.১০. 'ফণীমনসা ও বনের পরি' নাটকে সুত্রধারের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর - ফনীমনসা ও বনের পরি' নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সূত্রধার শব্দটির অর্থ হলো- নাটকের প্রস্তাবক প্রধান নট । কাহিনীটি ফনীমনসা গাছ ও বনের পরিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও সমস্ত নাটকটিতে সূত্রধরের জন্যই দৃশ্যের বিবরণ, ঘটনার পরিবর্তনগুলি আমরা দেখতে পাই । তাই বলাই যায় -নাটকটিতে সূত্রধার এর ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল ।
৩.১. সন্ধি করো :
৩.১.১. মিশি + কালো
উত্তর - মিশি + কালো = মিশকালো ।
৩.১.২. এত + দিন
উত্তর - এত + দিন = এদ্দিন।
৩.১.৩. বড়ো + ঠাকুর
উত্তর - বড়ো + ঠাকুর = বট্ ঠাকুর
৩.১.৪. সৎ + গ্রন্থ
উত্তর - সৎ + গ্রন্থ = সদগ্রন্থ
৩.১.৫ দিক্ + নির্ণয়
উত্তর - দিক্ + নির্ণয় = দিঙনির্নয়
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন কোন নিয়ম মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখো :
৩.২.১. প্রচ্ছদ
উত্তর - প্রচ্ছদ = প্র+ছদ (অ + ছ যুক্ত হয়ে অচ্ছ)।
৩.২.২. প্রাগৈতিহাসিক
উত্তর - প্রাগৈতিহাসিক = প্রাক + ঐতিহাসিক (ক +অ = গ )
৩.২.৩. সদিচ্ছা
উত্তর - সদিচ্ছা = সৎ + ইচ্ছা ( ত + ই = দি )
৩.২.৪. বিদ্যুদবেগ
উত্তর - বিদ্যুদবেগ = বিদ্যুৎ + বেগ ( ত + ব =দ্)
৩.২.৫. পদ্ধতি
উত্তর - পদ্ধতি = পদ + হতি (দ+ হ = দ্ধ )