আজকে আমরা আলোচনা করব ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮ এর সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে । 2021
ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮
১.১. ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো।
ক) গ্রহ - নিজস্ব আলো আছে
খ) গ্রহাণু - গ্রহের তুলনায় আয়তনে বড়
গ) উপগ্রহ - নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত
ঘ) উল্কা - লেজবিশিষ্ট উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক
উত্তর - গ) উপগ্রহ - নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত
১.২. নিরক্ষরেখার সমান্তরালে উত্তর গোলার্ধে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা হালো-
ক) মকরক্রান্তি রেখা
খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
গ) মূলমধ্য রেখা
ঘ) কুমেরুবৃত্ত রেখা
উত্তর - কর্কটক্রান্তি রেখা
১.৩. নীচের যে রাজ্যটির ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বিস্তৃত সেটি হলো-
ক) অরুণাচল প্রদেশ
খ) মহারাষ্ট্র
গ) হিমাচল প্রদেশ
ঘ) পশ্চিমবঙ্গ
ক) ট্রপোস্ফিয়ারে
খ) স্ট্যাটোস্ফিয়ারে
গ) আয়নোস্ফিয়ারে
খ) এক্সোস্ফিয়ারে
উত্তর - স্ট্যাটোস্ফিয়ারে
১.৫. আন্টার্কটিকার একটি স্বাভাবিক উদ্ভিদ হলো -
ক) পাইন
খ) শাল
গ) মস
ঘ ) সেগুন
উত্তর - মস
১.৬. ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো -
ক) মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি
খ) মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি
গ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম
ঘ) মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি
উত্তর - মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি
ক) প্রশান্ত মহাসাগর
খ) আটলান্টিক মহাসাগর
গ) ভারত মহাসাগর
ঘ) সুমেরু মহাসাগর
উত্তর - আটলান্টিক মহাসাগর
১.৮. পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি -
ক) উষ্ণ - আদ্র
খ) শীতল - আদ্র
গ) শীতল - শুষ্ক
ঘ) উষ্ণ - শুষ্ক
উত্তর - উষ্ণ - আদ্র
১.৯. ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদী হলো-
ক) কাবেরী
খ) গোদাবরী
গ) নর্মদা
ঘ) মহানদী
উত্তর - মহানদী
২.১. সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলের জলবায়ু___________প্রকৃতির হয়।
উত্তর - সমভাবাপন্ন
২.২. নির্দিষ্ট ঋতুতে যে গাছের পাতা ঝরে পড়ে তাকে_____________ উদ্ভিদ বলে।
উত্তর - পর্ণমোচী
২.৩. সাধারণত শীতকালে শীতল অঞ্চল থেকে যে পাখিরা আমাদের দেশে উড়ে আসে তারা__________ পাখি নামে পরিচিত ।
৩.১. গোলাকার পৃথিবী দ্রুত গতিতে আবর্তন করায় এটি মাঝ বরাবর স্ফীত।
উত্তর - ঠিক
৩.২. ০° ও ১৮০° দ্রাঘিমারেখা প্রকৃতপক্ষে একটিই রেখা।
উত্তর - ভুল
৩.৩. সূর্যের দৈনিক আপাত গতির মূল কারণ পৃথিবীর আবর্তন।
উত্তর - ঠিক
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
৪.১. আদ্রতা | ii. হাইগ্রমিটার |
৪.২. ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ | iii. গডউইন অস্টিন |
৪.৩. অখন্ড স্থলভাগ | i. প্যানজিয়া |
৫.১. তারার রঙের সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক লেখো।
উত্তর - তারাদের রং থেকে আমরা তারাদের উত্তাপ বুঝতে পারি—[1] যেসব তারারা লালচে তারা সবচেয়ে কম উষ্ম ও এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, [2] যেসব তারাদের রং মাঝারি হলুদ, সেইসব তারারা আর একটু বেশি উন্ন, [3] যেসব তারার রং নীল, তারা খুব উষ্ম এবং বেশ উজ্জ্বল, [4] যেসব নক্ষত্র সাদা রঙের হয় তারা সর্বাধিক উষ্ম এবং খুব বড়ো হয়।
৫.২. বারিমণ্ডল কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তর - সৃষ্টির বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরেটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে সেই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো ভরাট হয়ে সাগর মহাসাগর তৈরি হয়। এইভাবেই পৃথিবীর এই বিশাল জলভাণ্ডার অর্থাৎ বারিমণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তর - যে পদ্ধতিতে কোনো মাধ্যম ছাড়াই বা মাধ্যম থাকলেও তাকে উত্তপ্ত না করে তাপ এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে চলে যায়, সেই পদ্ধতিকে বিকিরণ পদ্ধতি বলে। বায়ুমণ্ডল সূর্যকিরণের দ্বারা সরাসরিভাবে উত্তপ্ত হয় না। সুর্য থেকে আলোর তরঙ্গ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। সূর্য থেকে আগত বিকিরিত তাপশক্তি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়লেও বায়ুমণ্ডলকে প্রথমে উত্তপ্ত না করে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। ভূপৃষ্ঠ সেই তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আলোক চৌম্বকীয় তরঙ্গরূপে সেই তাপের বিকিরণ শুরু হয় ও ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
উত্তর -
উত্তর - বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে পৃথিবীজুড়ে তাপমাত্রা একটু একটু করে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে চলার কারণে বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। ক্রমাগত উষ্ণতা বাড়ার ফলে প্রতিদিন একটু একটু করে গলে যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ, কমে যাচ্ছে মহাদেশটার আয়তন। ফলে ক্রিল, সিল, পেঙ্গুইন সবারই সংখ্যা কমছে, নষ্ট হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য। বরফের এই অস্বাভাবিক গলনের ফলে সমুদ্রের জলস্তরও একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, আর ১০০ বছরের মধ্যে হিমশৈলসহ সুমেরু কুমেরুতে জমে থাকা সমস্ত বরফ জলে পরিনত হবেডা
৭. নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও
উত্তর - পূর্বঘাট পর্বতমালা - ভারতের পূর্ব উপকূল জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করছে। উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণে তামিলনাড়ু পর্যন্ত এই পর্বত বিস্তৃত। গোদাবরী, মহানদী, কৃয়া, কাবেরী ইত্যাদি নদী এই পর্বতমালার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পূর্বঘাট পর্বতমালার পশ্চিমে দাক্ষিণাত্য মালভূমি অবস্থিত। এখানে প্রচুর কফি উৎপাদিত হয়।
পশ্চিম ঘাট পর্বত মালা - ভারতের পশ্চিমদিকে উত্তরে যুক্তরাত ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের শেষপ্রান্ত থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত সুবিশাল পর্বতমালা পশ্চিমঘাট পর্বত নামে পরিচিত , সহ্য নীলগিরি, আন্নামালাই ইত্যাদি এই পর্বতমালার বিখ্যাত পাহাড় এই পর্বতমালার দক্ষিণে অবস্থিত আনাইমুদি (2.695 মিটার) হল এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পশ্চিমঘাট পর্বতে অনেক জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং সংরক্ষিত বনভূমি চিহ্নিত করা হয়েছে।
৭.২. বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর - বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ কোনো অঞ্চলের আবহাওয়ার অন্যতম নিয়ন্ত্রক। বায়ু পৃথিবীর উপর চাপ দেয়। কোনো অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেড়ে গেলে সেখানে উচ্চচাপ আর বায়ুর চাপ কমে গেলে সেখানে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। বায়ু সব জায়গায় চাপ সমান রাখার জন্য উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। হঠাৎ কোনো অঞ্চলের বাতাসের চাপ খুব কমে গেলে, বাতাস ভীষণ গতিতে আশেপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। তখন ওই অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, অশান্ত আবহাওয়া তৈরি হয়। আর উচ্চচাপ অঞ্চলে পরিষ্কার আকাশ, শান্ত আবহাওয়া দেখা যায় ।
৭.৩. অরণ্য সংরক্ষণ করা কেন প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো?
উত্তর - মানবজীবনের তিনটি মূল উপাদান খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, সব কিছুরই উৎসস্থল অরণ্য। এককথায় বলা যায় যে, দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কাজের জন্যই মানুষ অরণ্যের কাছে ঋণী। মানবজীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে অরণ্য। শুধু যে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের যোগান দেয় তা নয়, অরণ্যের উপর নির্ভর করে প্রচুর মানুষের জীবিকা। অসংখ্য পরিবারের দিন অতিবাহিত হয় কেবল অরণ্যের ভিত্তিতেই। এর পাশাপাশি অরণ্যের যথেচ্ছ নিধন ক্রমাগত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। ধ্বংসের দিকে এগোবে সমাজ। দূষিত